ঢাকা,মঙ্গলবার, ৭ মে ২০২৪

কুতুবদিয়ায় বেড়িবাঁধের কাজে অনিয়ম ঃ ৫ প্রস্তাবনা দীপবাসীর

ইমাম খাইর, কক্সবাজার ::     গত ছয় বছর ধরে কুতুবদিয়া দ্বীপের ১৪ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ অরক্ষিত। যে কারণে শত শত একর ফসল আর লবণ চাষের জমি অনাবাদি হয়ে পড়ে আছে। বেড়িবাঁধ না থাকায় জোয়ার-ভাটার কারণে কয়েকশ’ একর জমিতে লবণ উৎপাদন বন্ধ। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার লোকজন উপার্জন ক্ষমতা হারিয়ে দরিদ্রসীমার নিচে চলে গেছে। দ্বীপের মানুষের জীবন, সহায় সম্পত্তি রক্ষায় স্থায়ী বেড়িবাঁধ নির্মাণ খুবই জরুরী। ত্রাণ বা অনুদান চাইছেনা উপকূলের মানুষরা। পানি উন্নয়নবোর্ড এবং টেন্ডারিং-এ স্বচ্ছতা এনে প্রয়োজন কংক্রিট-সী-ডাইক পদ্ধতিতে স্থায়ী বেড়িবাঁধ দেয়ার দাবী তাদের। তাছাড়া পানি উন্নয়নবোর্ডের সংস্কার করে আলাদা উপকূলীয় উন্নয়নবোর্ড চায় সাগরের ঢেউয়ের ভয়ে আতঙ্কিত উপকূলের বাসিন্দারা।

১৯ মার্চ ওয়াশিংটন থেকে প্রকাশিত বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে আশঙ্কা করা হয়েছে, ২০৫০ সালের মধ্যে বাংলাদেশের ১ কোটি ৩৩ লাখ মানুষ স্থানীয়ভাবে জলবায়ু শরণার্থী হবে।

এদিকে কুতুবদিয়া চলমান ৯২ কোটি টাকা ব্যয়ে বেড়িবাঁধের ব্লক তৈরীর কাজে চরম অনিয়ম দুর্নীতি করা হচ্ছে। সিলেটি পাথরের বদলে ব্যবহার করা হচ্ছে স্থানীয় পাথর। কাঁচপুরের কিছু পাথর ব্যবহার হচ্ছে, যার গুণগত মান খুবই খারাপ। আগামী বর্ষার আগেই বেড়িবাঁধের কাজ শেষ করার দাবীতে ৫টি প্রস্তাব পেশ করেছে দ্বীপাঞ্চলের মানুষগুলো।

এসব বিষয়ে সামনে এনে উপকূল রক্ষার দাবীতে জলবায়ূ অর্থায়ন বিষয়ক নাগরিক সমাজের সংগঠন সমূহের সমন্বয়ে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। রবিবার (২৫ মার্চ) সকালে কক্সবাজার পৌর ভবনের সামনের সড়কের মানববন্ধনে বিভিন্ন শ্রেনী পেশার লোকজন অংশ গ্রহণ করেন।

কোস্ট ট্রাস্টের সহকারী পরিচালক মকবুল আহমদের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তৃতা করেন- কক্সবাজার পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এসআইএম আকতার কামাল আজাদ, মহেশখালীর কালারমারছড়া ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান কবি রুহুল কাদের বাবুল, মহেশখালী উপজেলা যুবমহিলা লীগের সভাপতি করিমা আকতার, উপকূল বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি হুমায়ুন সিকদার, পরিকল্পিত কক্সবাজার আন্দোলনের সমন্বয়ক আবদুল আলীম নোবেল প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, স্থায়ী ও টেকসই বেড়িবাঁধের অভাবে ঝড়-তুফান ও ঘূর্ণিঝড়ের প্লাবন এখনও উপকূলের লোকালয়ে হানা দেয়। উপকূলের মানুষ এখনও স্বস্তি নিয়ে বসবাস করতে পারছে না। ঝড়-জোয়ারের প্লাবন প্রতিরোধী একটি বেডিবাঁধের অভাবে তারা বড় অসহায়। বেড়িবাঁধের জন্য সরকারের বরাদ্দের কাজও যথাযথভাবে হচ্ছে না। স্থায়ী বেড়িবাঁধ না থাকায় দ্বীপ ছেড়ে আসা মানুষ নিজেদের বাস্তুভিটায় ফিরে যেতে সাহস পায় না। বরং এখনও উপকূল থেকে স্থানান্তর হওয়া থেমে নেই।

বেড়িঁবাধের কাজে অনিয়ম দুনীতির প্রসঙ্গে বক্তারা বলেন, খুব খালি চোখেই কুতুবদিয়া বেড়িবাঁধ নির্মাণে কিছু অনিয়ম ধরা পড়ে। যা দ্বীপবাসীর জন্য বিপজ্জনক। তিনি বলেন, ব্লক নির্মাণ কাজে সিলেটি পাথর ব্যবহার করার কথা থাকলেও ব্যবহার করা হচ্ছে না। স্থ’ানীয় পাথর ব্যবহার করা হচ্ছে। কাঁচপুরের কিছু পাথর ব্যবহার হচ্ছে যার গুণগত মান খুবই খারাপ।

সম্প্রতি কুতুবদিয়ার বিভিন্ন এলাকায় বেড়িবাঁধ নির্মাণ কাজ সরেজমিনে পরিদর্শন করে তার একটি চিত্র প্রস্তাবনা আকারে জনগণের সামনে তুলে ধরে আয়োজকরা।

১. কায়সার পাড়া বেড়িবাঁধ:

৩০০মিটার ব্লকসহ এই কাজটিতে জরুরি ভিত্তিতে প্রায় এক কোটি টাকার কাজ হয়েছিল। এরপরও এবার ব্লকসহ কাজ করা হচ্ছে। তবে এই কাজে যে হারে মাটি বাধের ভিতর থেকে নেওয়া হয়েছে, তাতে বাঁধ টিকবে কিনা সন্দেহ আছে। তাছাড়া তাড়াতাড়ি কাজ শেষ না হলে কায়সার পাড়া অসম্ভব ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে দাঁড়াবে। কারণ, জোয়ারের পানি এই দিক দিয়ে ঢোকার সম্ভাবনা বেশি।

২. পশ্চিম তাবলারচর বেড়িবাঁধ:

ব্লক সহ মাটির বাঁধ ধরা হয়েছে ৩৫০ মিটার, অথচ এই অংশে ভাংগা বেড়িবাঁধ আছে ১০০০মিটার। আর তাই জোয়ারের পানি খুব সহজেই এদিক দিয়ে ঢুকে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। মাটি আরো উচু করতে হবে। না হলে বর্ষায় জোয়ারের পানি আটকানো অসম্ভব।

৩. কাহারপাড়া বেড়িবাঁধ:

নির্মাণ করা হচ্ছে মাত্র ১০০ মিটার, কিন্তু এর ভাঙ্গা অংশ প্রায় ৪০০মিটার। এই ১০০ মিটারের পুননির্মাণ বা সংস্কারে আসলে কোনও উপকারই পাওয়া যাবে না। জরুরি ভিত্তিতে গত বছর প্রায় ৫০ লাখ টাকার বাজেট দেওয়া হয়েছিল। কিন্ত মানসম্পন্ন কাজ না হওয়ায় পুরো বেড়িঁবাধ ভেঙ্গে যায়।

৪. কুমিরারছড়া থেকে মুরালিয়া:

মাটির বাঁধ এবং ব্লকসহ ধরা হয়েছে ৮৫০ মিটার প্রায়। মুরালিয়া এবং জেলে পাড়ার বাঁধের অবস্থায় খুবই খারাপ যার কারণে পানি ঢোকার সম্ভাবনা বেশি।

৫. আকবরবলী ঘাট:

এবারের নতুন কাজে ধরা হয়েছে ১৮০০ মিটার। তবে এখনো মাটির কাজ শেষ হয়নি, এই বর্ষায় শেষ হওয়ার সম্ভাবনা নাই বললেই চলে। মাটির কাজ যেভাবে উচ্চতা কম হয়েছে, ব্লক দেওয়া টিক হবে না।

আরও অন্তত বিশ কিলোমিটার ব্লকসহ বাঁধ প্রয়োজন :

কুতুবদিয়ার চর্তুপার্শ্বে দৈর্ঘ্য হচ্ছে চল্লিশ কিলোমিটার। মোটামুটি ভাবে চারপাশের মধ্যে বর্তমানে ব্লক বাঁধ আছে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার, নতুন করে নির্মাণ করা হবে সাড়ে চারকিলোমিটার, বাকি থাকে আরও প্রায় ত্রিশ কিলোমিটারের। এর মধ্যে যদি অন্তত বিশ কিলোমিটার ব্লকসহ বাঁধ হয় তাহলে কুতুবদিয়া বেড়িবাঁধ আগামী বিশ বছর টিকে থাকার সম্ভাবনা আছে। বর্তমানে আনিছের ডেইল, দক্ষিণ ধুরুং, অমজাখালী, আজম কলোনী, বড়ঘোপ ইউনিয়নে দক্ষিণ তাবলরচর কোন বাধ বা ব্লক ধরা হয়নি, এই জন্য এই এলাকা বেশি ঝুঁকিপুর্ণ। পেয়ারাকাটা ১নং সুইচ গেইট পর্যন্ত উত্তর ধুরংয়ের জন্য এবার বাজেটে কোন টাকা ধরা হয় নাই, এই বাঁধগুলো দিয়ে পানি ঢোকার সম্ভাবনা বেশি। উত্তর ধুরং ১ নং স্লুইচ গেইটে কোন বাজেট দেওয়া হয় নাই, এই বাঁধও ঝুঁকিপূর্ণ। কালারমার পাড়ায় উত্তর ধুরং স্লুইচ গেইট পর্যন্ত বাঁধে কোন বাজেট ধরা হয় নাই, এই বাঁধে পানি ঢোকার সম্ভাবনা আছে।

বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, চলতি অর্থবছর কুতুবদিয়া দ্বীপের ৭১ পোল্ডারের ১৪ কিলোমিটার অরক্ষিত বেড়িবাঁধ স্থায়ীভাবে মেরামত করার জন্য ৯২ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়। বর্তমানে ব্লক তৈরির কাজ শুরু হয়েছে বলে পাউবোর শাখা কর্মকর্তা এলটন চাকমা নিশ্চিত করেন।

কুমিরারছড়া গিয়ে প্রকল্প প্রকৌশলী আবদুর রউফের সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান, এই কাজের ঠিকাদার জে.বি এল কনস্ট্রাকশনের মালিক ফারুক। নৌবাহিনীর কাছ থেকে মোট ৯২ (বিরানব্বই) কোটি টাকার কাজটি পেয়েছেন। মাটির বাঁধসহ প্রায় সাড়ে চার কিলোমিটারের ব্লক হবে।

কুতুবদিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আওরঙ্গজেব মাতবর বলেন, কুতুবদিয়া দ্বীপের ১৪ কিলোমিটার বাঁধ স্থায়ীভাবে মেরামত করার জন্য ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরে ৯২ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়। চলতি বছর নৌবাহিনীর তত্ত্বাবধানে ব্লক তৈরি ও বাঁধ নির্মাণের কথা থাকলেও শুধু ব্লক তৈরি করা হচ্ছে। ব্লক তৈরিতে লবণ মেশানো বালি আর নিম্নমানের পাথর ব্যবহার হচ্ছে বলে অভিযোগ তোলেন এলাকাবাসী।

কুতুবদিয়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ও আলী আকবর ডেইল ইউপির চেয়ারম্যান নুরুচ্ছাফা গত বছরের ডিসেম্বর মাসের আইনশঙ্খলা সভায় ব্লক তৈরির সময় নৌবাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত না থাকায় অনিয়ম হচ্ছে বলে জানান। এছাড়া তাবলরচর, চরধুরুং, কাইছারপাড়া এলাকার বেড়িবাঁধ ভাঙা থাকায় গত পাঁচ বছর ধরে শুকনো ও বর্ষা মৌসুমে প্রায় ৫ হাজার হেক্টর ফসলি জমি আর শত শত একর লবণ উৎপাদনের মাঠ অনাবাদি পড়ে থাকে। এতে পাঁচ বছরে শত কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানান এলাকার প্রান্তিক চাষি। ফলে চাষি পরিবারে অভাব-অনটন নেমে এসেছে।

এ ব্যাপারে কুতুবদিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এটিএম নুরুল বশর চৌধুরী বলেন, ছয় বছর ধরে কুতুবদিয়া দ্বীপের ১৪ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ভাঙ্গা থাকায় উত্তর ধুরুং, দক্ষিণ ধুরুং, লেমশীখালী, কৈয়ারবিল, বড়ঘোপ, আলী আকবর ডেইল ইউনিয়নের শত শত একর ফসল আর লবণ চাষের জমি অনাবাদি হয়ে পড়ে আছে।

উত্তর ধুরুং ইউপির চেয়ারম্যান ও কুতুবদিয়া বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি আ.স.ম শাহরিয়ার চৌধুরী জানান, পাউবো কর্তৃপক্ষ চরধুরুং আকবরবলীপাড়া, ফয়জানিরবাপের পাড়া, সতরউদ্দিন, কাইছারপাড়া এলাকায় ১০ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ না থাকায় জোয়ার-ভাটার কারণে কয়েকশ’ একর জমিতে লবণ উৎপাদন না হওয়ায় শত কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। এসব এলাকার লোকজন উপার্জন ক্ষমতা হারিয়ে দারিদ্র্যসীমার নিচে চলে গেছেন। ফলে জাতীয় অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব পড়েছে। বেড়িবাঁধ অরক্ষিত থাকায় ছয় বছরে উত্তর ধুরুং ইউনিয়নের অর্ধলক্ষ মানুষ গৃহহারা হয়েছে।

দ্বীপবাসী মনে করেন, বর্ষার আগে কাজ শেষ করা না গেলে কুতুবদিয়াবাসীর জন্য সেটা হবে দুর্ভাগ্যের এবং দুর্যোগের। অন্যদিকে রাষ্ট্রের ৯২ কোটি টাকাও অপচয় হবে।

এদিকে সম্প্রতি বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে বাংলাদেশের ১ কোটি ৩৩ লাখ মানুষ জলবায়ু শরণার্থী হবে বলে আশঙ্কা করা হয়েছে। বলেছে, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে বিশ্বের অন্যতম ঝুঁকিপূর্ণ দেশ বাংলাদেশ। ২০৫০ সালের মধ্যে এ দেশের ১ কোটি ৩৩ লাখ মানুষ স্থানীয়ভাবে জলবায়ু শরণার্থী হবে। বিশ্বব্যাংকের ‘প্রিপেয়ারিং ফর ইন্টারনাল ক্লাইমেট মাইগ্রেশন’ শীর্ষক এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। ১৯ মার্চ ওয়াশিংটন থেকে এটি প্রকাশিত হয়।

প্রতিবেদনের তথ্য অনুয়ায়ী, উন্নয়নশীল দেশগুলোর, বিশেষ করে এশিয়ার শহরগুলো সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির সম্মুখীন হবে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে পৃথিবীর যে দুটি শহরের জনসংখ্যা আনুপাতিক হারে সবচেয়ে বেশি বৃদ্ধি পাবে সে দুটি শহর হল ঢাকা এবং চট্টগ্রাম। খুলনাও খুব একটা পিছিয়ে থাকবে না। যদিও বাংলাদেশের কিছু অংশ নদীবাহিত পলির কারণে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতার সঙ্গে তাল মিলিয়ে উঁচু হতে থাকবে, তবে এক-পঞ্চমাংশ অংশ তলিয়ে যাবে পানির নিচে।

ক্রমাগত জনসংখ্যা বৃদ্ধির চাপের সঙ্গে সঙ্গে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা কয়েক ফুট বেড়ে গেলে প্রায় ২ কোটি মানুষ বাস্তুহারা হয়ে পড়বে। জলবায়ু শরণার্থী হিসেবে এ বাস্তুহারা মানুষগুলো মূলত ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনার মতো বড় শহরগুলোতে ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রচ- চাপ ফেলবে দেশের সরকার, এর বিভিন্ন গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান এবং সীমান্ত এলাকাগুলোতে। গণহারে অভিবাসনের মতো একটি ভূ-রাজনৈতিক ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা খুবই প্রবল।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে হিমালয়ের হিমবাহের বরফগলা পানি সাধারণত নদ-নদীগুলোর বাৎসরিক পানিপ্রবাহের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়ার সঙ্গে সঙ্গে ভূমিধস, ফ্লাশ ফ্লাড এবং পাহাড়ি হ্রদগুলোর উপচে পড়ারও কারণ ঘটিয়ে থাকে। তাই হিমালয়ের বরফ গলে প্রতি বছরই বাংলাদেশে মৌসুমি বন্যা হয়ে থাকে। এ মৌসুমি বন্যাগুলো দিনকে দিন আরও ভয়াবহ রূপধারণ করছে। অন্যদিকে শুষ্ক মৌসুমে উত্তরাঞ্চল পড়ে যায় খরার কবলে।

সংস্থাটি জানিয়েছে, মাটির উর্বরতা কমে যাওয়া, ফসলি জমি পানিতে ডুবে যাওয়া কিংবা ভূ-গর্ভস্থ পানির পরিমাণ কমে যাওয়া- এসব কিছুই খাদ্য উৎপাদনের ওপর ব্যাপক প্রভাব ফেলবে। পাশাপাশি শিল্প-কারখানা আর বসতবাড়ি নির্মাণে গ্রাস করছে আবাদি জমি। প্রতিদিন দেশে প্রায় ৩২০ হেক্টর কৃষিজমি চলে যাচ্ছে অকৃষি কর্মকা-ে, যাতে ১৫ লাখ মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা হুমকিতে পড়ছে।

পাঠকের মতামত: